বর্তমান সময়ে আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন ইন্টারনেটে একটি ট্রেন্ড চলমান রয়েছে আর সেটি হল, ৪৬ হাজার টাকা ফ্রি। অর্থাৎ আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে এরকম অনেক বিজ্ঞাপন আপনার নজরে আসছে যেখানে বলা হচ্ছে আপনি ৪৬ হাজার টাকা ফ্রিতে পাবেন।
ব্যাপারটা কি আসলেই তাই? অর্থাৎ যে কেউ কি আসলেই ৪৬ হাজার টাকার ফ্রিতে পেয়ে যাচ্ছে? যদি পেয়েও থাকে তাহলে আপনি সেটা কিভাবে পাবেন, এবং যদি ভিন্ন কোন কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটিইবা আসলে কি? সেই সংক্রান্ত তথ্য এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন৷
৪৬ হাজার টাকা ফ্রি ভিডিওটি আসলে কতটা সত্য?
আপনি যদি ইউটিউবে কিংবা অন্য যে কোন সোসিয়াল কোন মাধ্যমে দেখেন তাহলে দেখতে পারবেন অনেকেই এই রকমের অনেক ভিডিও তৈরি করছে যেখানে বলছে এত পরিমাণে অ্যামাউন্টে টাকা পাওয়া সম্ভব।
তবে দুর্ভাগ্যজনক হলে সত্য যে এই তথ্যটি পরিপূর্ণভাবে ভুয়া। অর্থাৎ এরকম কোন উপায় ইন্টারনেটে নেই কিংবা এরকম কোন কোম্পানি ইন্টারনেট নেই যারা আপনাকে কোন রকমের কাজ করা ছাড়াই এত টাকা ফ্রিতে দিয়ে দিবে।
তাছাড়া এটি একটি কমনসেন্সের ব্যাপার যে কেউ কেন আপনাকে ফ্রিতে এত টাকা দিয়ে দিবে? কেউ আপনাকে কেনই বা ফ্রিতে টাকা দিয়ে তার লোকসান ঘটাবে, যেখানে এত পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে এক মাসেরও বেশি লাগার কথা সে কেন আপনাকে ফ্রিতে এত টাকা দিয়ে দিবে?
এই বিষয়গুলো নিয়ে যদি আপনি চিন্তাভাবনা করেন তাহলে এই সম্পর্কে নিজেই অবগত হতে পারবেন যে এই বিষয়টি আসলে সঠিকভাবে নাকি ভুয়া হবে৷
ইন্টারনেটে কি আসলেই ফ্রি বলতে কিছু আছে?
ইন্টারনেটে আমরা হরহামেশাই এরকম অনেক বিজ্ঞাপন দেখে থাকি যেখানে তারা বলে থাকে যে ফ্রিতে আমাদের এটি দিয়ে দিবে সেটি দিয়ে দিবে। ব্যাপারটা আসলে সেরকমটা নয়।
ইন্টারনেট এমন একটি জায়গা যেখানে কেউ আপনাকে ছেড়ে কথা বলবে না। অর্থাৎ যে কেউ চাইলে আপনাকে কাস্টমারের রূপান্তর করতে চাইবে সেটা যেভাবেই হোক না কেন।
এখন যে কেউ যখন আপনাকে কাস্টমারের রূপান্তর করতে চাইবে তখন সে নিশ্চয়ই কোন না কোন ভাবে আপনাকে বিভ্রান্তির স্বীকার করে কিংবা ধোকার মধ্যে ফেলে এই কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে।
এবং আপনাকে ধোকার মধ্যে ফেলে তাদের সম্ভাব্য কাজটি সম্পন্ন করে নেয়ার জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি রয়েছে, তার মধ্যে থেকে অন্যতম পদ্ধতি হলো ফ্রিতে যে কোন একটি অফার প্রোভাইড করা। যদিও তারা আপনাকে সেটি ফ্রিতে দিবে না।
সেজন্য ইন্টারনেটে এরকম লোভনীয় অফার দেখার পরে অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকবেন এবং এগুলোকে অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। কারণ এই সমস্ত তথ্য গুলো সম্পন্ন ভুয়া। যেখানে আপনাকে বলা হয় আপনাকে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট ফ্রিতে দেয়া হবে কিংবা ৪৬ হাজার টাকা ফ্রি দেয়া হবে।